প্রাকৃতিক ফাইবারের সংজ্ঞা
বিভিন্ন উৎস থেকে ফাইবার পাওয়া যায়। এদের মধ্যে গাছ, ফল, পোকা, জন্তু ইত্যাদি উৎস থেকেও ফাইবার পাওয়া যায় । কাজেই প্রকৃতি থেকে অথবা প্রকৃতিতে জন্মে এসব গাছ, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, প্রাণী, খনি ইত্যাদি থেকে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের উপযোগী যে ফাইবার পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক ফাইবার বলে।
প্রাকৃতিক ফাইবারের বৈশিষ্ট্য
যদি কোনো ফাইবার কোনো সম্ভাব্য টেক্সটাইল সামগ্রী হিসেবে তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয় তবে উক্ত ফাইবারের নির্দিষ্ট কতগুলো ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলি থাকা প্রয়োজন। এটি ব্যবহারকারীর চাহিদার উপর টেক্সটাইল সামগ্রীর সফলতা নির্ভর করে। ব্যবহারকারীর চাহিদা তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন এটি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি অর্থাৎ সংকোচন, প্রসারণ, টুইস্ট দেওয়া, অ্যাসিড, অ্যালকালি বা বিভিন্ন অক্সিডাইজিং রিডিউসিং এজেন্ট, উচ্চ তাপ, উচ্চ চাপ ইত্যাদি সহ্য করে ফিনিশ কাপড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । কাজেই প্রতিটি টেক্সটাইল ফাইবারেরই নির্দিষ্ট কিছু গুণাবলি থাকা প্রয়োজন। একটি প্রাকৃতিক টেক্সটাইল ফাইবারের সম্পূর্ণ গুণাবলি জানতে হলে এর দৈর্ঘ্য, আর্দ্রতা ধারণক্ষমতা, শক্তি, ছিঁড়ে যাওয়ার পূর্বে প্রসারণ, ঘনত্ব, অ্যাসিডে বিক্রিয়া, অ্যালকালিতে বিক্রিয়া ইত্যাদি জানতে হবে। নিচে প্রাকৃতিক ফাইবারের একটি সংক্ষিপ্ত বৈশিষ্ট্য প্রদত্ত হলো।
প্রাকৃতিক ফাইবারের দৈর্ঘ্য
ফাইবারের দৈর্ঘ্যের উপর আঁশের গুণাগুণ অনেকাংশে নির্ভর করে। সাধারণত দৈর্ঘ্যে বড় আঁশ অপেক্ষাকৃত মসৃণ ও শক্ত হয়ে থাকে। আবার ছোট দৈর্ঘ্যের সুতা তৈরির ক্ষমতা কম থাকে। দৈর্ঘ্য অবশ্যই তার ব্যাস থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি হতে হবে। সূক্ষ্ম সুতা অর্থাৎ চিকন কাউন্টের সুতা তৈরির জন্য আঁশের দৈর্ঘ্য অবশ্যই ভালো হতে হবে। আবার মোটা সুতা তৈরির ক্ষেত্রে আঁশের দৈর্ঘ্য মোটামুটি হলেও চলবে।
ফাইবারের শক্তি
ফাইবারের শক্তি হচ্ছে ফাইবার কতটুকু টান প্রতিরোধ করে। দুর্বল ফাইবার দ্বারা কখনও শক্ত সুতা প্রস্তুত করা সম্ভব হয় না। ফাইবার দ্বারা সুতা তৈরির জন্য প্রতিটি আলাদা আলাদা ফাইবারের নির্দিষ্ট শক্তি থাকা প্রয়োজন। ফাইবারের শক্তিকে টেনজাইল স্ট্রেস্থ বলে। যার একক হচ্ছে পাউন্ডস / বর্গইঞ্চি। সংক্ষেপে পিএসআই। ফাইবারের শক্তি মাত্রাতিরিক্ত কম হলে উক্ত ফাইবার দ্বারা সুতা তৈরি করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ছেঁড়ার হার বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন কম হবে। কাজেই সুতা তৈরির ক্ষেত্রেও ফাইবারের শক্তি একটা বিশেষ ভূমিকা রাখে । এক কথায় বলা যায় শক্তিবিহীন ফাইবারের জন্য সর্বগুণই অর্থহীন।
ফাইবারের সুক্ষ্মতা
কোনো বস্তুর সূক্ষ্মতা তার ব্যাস বা প্রস্থচ্ছেদের সাথে সম্পর্কযুক্ত, আঁশের ক্রস সেকশনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতকেই সূক্ষ্মতা বলা হয়। মোটা আঁশের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য এটির ব্যাসের চেয়ে ৭০০ গুণ বেশি হয়। কিন্তু ভালো বা সূক্ষ্ম আঁশের ক্ষেত্রে এটি ৫০০০ গুণ বেশি হয়। একমাত্র ভালো সূক্ষ্ম আঁশই ভালো সুতা তৈরি করতে পারে। প্রাকৃতিক আঁশের ক্ষেত্রে সূক্ষ্মতা, ব্যাস ও আঁশে উপস্থিত সেলুলোজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে বলা যায়, ছোট দৈর্ঘ্যের আঁশ মোটা এবং লম্বা আঁশ সূক্ষ্ম অর্থাৎ চিকন হয়। চিকন আঁশ হতে উচ্চ কাউন্টের ও গুণগত দিক থেকে উন্নতমানের সুতা তৈরি করা সম্ভব।
সুষমতা
সুষমতা বলতে প্রতিটি আলাদা আলাদা ফাইবার তার দৈর্ঘ্য ও ব্যাসের দিক থেকে সুষম হয়। আঁশ যত সুষম হবে, শক্তি তত বেশি হবে। তাছাড়া সুষম সুতা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য একটা ভালো ভূমিকা রাখে।
ক্রিম্প
ফাইবারের ঢেউ খেলানো অবস্থাকে ক্রিম্প বলে। এটি মেরিনো উলের একটি প্রাকৃতিক গুণ। ভালো গুণের সূক্ষ্ম উলে এই গুণাবলি বেশি। মোটা উলের ক্রিম্পের চেয়ে কুঁচকানো ভাব বেশি থাকে। স্ট্রেচবিহীন আঁশের দৈর্ঘ্যের সাথে সাথে এটি শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়। উপরোক্ত গুণাবলির জন্য প্রাকৃতিক আঁশ একটির সাথে অন্যটি জড়িয়ে থাকে। ফলে উৎপাদিত সুতার শক্তি বেশি হয়। তাছাড়া সুতা তৈরির সময় এ গুণাবলি খুব সাহায্য করে। টুইস্টবিহীন স্লাইবার উপরোক্ত গুণের কারণে খুলে আলাদা হয়ে যায় না।
স্থিতিস্থাপকতা
ফাইবারের উপর শক্তি প্রয়োগ করলে ফাইবার প্রসারিত হয় এবং শক্তিমুক্ত করলে আবার ফাইবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে। প্রাকৃতিক ফাইবারের এই প্রসারিত হওয়া এবং ফিরে যাওয়ার ক্ষমতাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে । ফাইবারের এই গুণাগুণের কারণে কাপড় পরিধান আরামদায়ক ও সহজ মনে হয়।
সংশক্তি প্রবণতা
একটি ফাইবারের সাথে অন্য ফাইবারের জড়িয়ে বা লেগে থাকার প্রবণতাকে সংশক্তি প্রবণতা বলে। স্পিনিং প্রসেসের জন্য ফাইবারের এ গুণটি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ গুণ থাকার কারণে কার্ডিং ও ড্রইং মেশিনে কোনো পাঁক ছাড়া স্লাইভারসমূহ পরবর্তী প্রসেসের জন্য প্রক্রিয়াজাত থাকে। ফাইবারসমূহ নিচে পড়ে যায় না। তবে ফিলামেন্ট ফাইবারের ক্ষেত্রে এ গুণ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ঘনত্ব
একক আয়তনের ওজনকে ঘনত্ব বলে। এটি সাধারণত গ্রাম/সিসি হিসেবে প্রকাশ করা হয়। অলিফিন বাদে সমস্ত টেক্সটাইল ফাইবারই পানির চেয়ে ভারী। অলিফিন পানির উপরে ভাসে। গ্লাস ও অ্যাসবেস্টস ফাইবারের ঘনত্ব বেশি, নাইলন ও সিল্কের ঘনত্ব অত্যন্ত কম। হালকা ওজনের ফাইবার সাধারণত কিছুটা উষ্ণ হয় এবং ভারী ওজনের ফাইবার সাধারণত ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। প্রাকৃতিক ফাইবার উল যেহেতু উঞ্চ সেহেতু হালকা, কজেই উল ফাইবার দ্বারা গরম কম্বল ও সোয়েটার তৈরি হয়।
প্লাস্টিসিটি
তাপে সে সমস্ত ফাইবার নমনীয় হয় সে সমস্ত ফাইবারকে থার্মোপ্লাস্টিক ফাইবার বলে। তাপ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ফাইবারকে স্থায়ী আকার দেওয়া সম্ভব। প্লাস্টিসিটি গুণাবলি কাপড়ের সৌন্দর্য্য রক্ষা, যত্ন নেওয়া এবং স্থায়িত্বতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সব থার্মোপ্লাস্টিক ফাইবারই তাপ স্পর্শকাতর। এ ধরনের ফাইবারের তৈরি কাপড় কম তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করা যায় এবং ঈষৎ উষ্ণ পানিতে ধৌত করা যায়।
বিশ্লেষণ
বেশির ভাগ প্রাকৃতিক টেক্সটাইল ফাইবার বাতাস হতে আর্দ্রতা গ্রহণ করে। ফাইবারের আর্দ্রতা গ্রহণ করার ক্ষমতাকে বিশ্লেষণ বলে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হলে বা আঁশ বাতাস হতে আর্দ্রতা গ্রহণ করে ওজনে ভারী হয়। এক্ষেত্রে ক্রেতা ফাইবার কিনতে গেলে ঠকে যাবে। কাজেই এ অবস্থা দূরীকরণের জন্য ক্রয়- বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ওভেন ড্রাই ওয়েট করে উক্ত ওজনের সাথে আর্দ্রতার শতকরা হার যোগ করে ফাইবার ক্রয়- বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ ঠকবে না। উলের ময়েশ্চার ধারণক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। আবার কৃত্রিম ফাইবার পলিয়েস্টারের ময়েশ্চার ধারণক্ষমতা সবচেয়ে কম। যেসব ফাইবারের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বেশি সেসব ফাইবারের তৈরি পোশাক পরিধানের জন্য খুবই আরামদায়ক। কারণ উক্ত পোশাক সহজেই ঘাম শোষণ করেতে পারে এবং স্থির বিদ্যুৎ তৈরি হওয়া রোধ করতে পারে।
রেসিলিয়েন্সি
ফাইবার বা কাপড় বিভিন্ন সময়ে ব্যবহারের কারণে বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকা, কাপড় ভাঁজ করা, টান খাওয়া ইত্যাদির কারণে কাপড় বিকৃত না হয়ে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। কাপড় বা ফাইবারের এ ধরনের গুণাবলিকে রেসিলিয়েন্সি বলে। কাপড়ের কুঁচকানো স্বভাব দূর করা এবং কাপড়ের স্থায়িত্ব, যত্ন ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য রেসিলিয়েন্সি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
রং
বিভিন্ন প্রাকৃতিক ফাইবারের কিছু না কিছু রং থাকে। উদাহরণ স্বরূপ- সিল্কের হলুদ ও তামাটে, উলের রং সাদা ও ধূসর, কটন ফাইবারের রং ক্রিম সাদা ও হালকা বাদামি। বেশির ভাগ কৃত্রিম আঁশ হালকা ক্রিম অথবা হলুদাভ রঙের হয় । কাজেই সাদা ফাইবার পাওয়ার জন্য বেশির ভাগ প্রাকৃতিক ফাইবারকেই ব্লিচিং করা হয়। বিভিন্ন এলাকা ও বিভিন্ন দেশের আঁশের রং স্থানভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে।
চাকচিক্য
ফাইবার থেকে কী পরিমাণ আলোর প্রতিফলন হয় তার উপর নির্ভর করে ফাইবারের চাকচিক্য নির্ণয় করা হয়। এ গুণাগুণ ফাইবারের পৃষ্ঠদেশীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে। মসৃন পৃষ্ঠ অমসৃণ পৃষ্ঠের চেয়ে বেশি আলো প্রতিফলিত করে, ফলে মসৃণ পৃষ্ঠ বেশি উজ্জ্বল দেখায়। আবার গোলাকার ফাইবার চেষ্টা ফাইবার থেকে বেশি আলো প্রতিফলিত করে। সাধারণ কটনের চেয়ে মার্সেরাইজড কটন বেশি চাকচিক্য সম্পন্ন হয়। সিল্কের অপেক্ষাকৃত সুষম পৃষ্ঠীয় গঠনের জন্য আলোর সুষম প্রতিফলন হয়। ফলে কটন ও উল থেকে সিল্ক বেশি উজ্জ্বল।
প্রাকৃতিক ফাইবারের শ্রেণিবিভাগ
প্রকৃতিতে পাওয়া যায় বা প্রকৃতিতে জন্মে এসব গাছ, পাতা, ছাল, ফুল, প্রাণী, খনি ইত্যাদি থেকে যে ফাইবার সংগ্রহ করা হয় তা প্রাকৃতিক ফাইবার। উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে এ ফাইবারকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
১। উদ্ভিজ ফাইবার (Vegetable Fibre)
২। প্রাণিজ ফাইবার (Animal Fibre)
৩। খনিজ ফাইবার (Mineral Fibre)
১। উদ্ভিজ ফাইবার (Vegetable Fibre)
গাছের ছাল, গাছের পাতা, বীজ ইত্যাদি হতে যে ফাইবার পাওয়া যায় তা উদ্ভিজ ফাইবার। পৃথিবীতে যে ফাইবার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বেশি ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ কটন ফাইবার হলো উদ্ভিজ ফাইবার। এটি উদ্ভিজ বীজ হতে সংগ্রহ করা হয়। পুনরায় উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ক) বীজ ফাইবার (Seed Fibre)
খ) বাস্ট ফাইবার (Bast Fibre)
গ) লিফ ফাইবার (Leaf Fibre)
বীজ ফাইবার (Seed Fibre)
আঁশসমূহ বীজের চারপাশে থাকে বলে এ আঁশকে বীজ ফাইবার বলা হয়। কটন অর্থাৎ তুলা হলো বীজ ফাইবারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এ ছাড়া শিমুল ক্যাপকও বীজ ফাইবার।
বাস্ট ফাইবার (Bast Fibre)
এ জাতীয় ফাইবার উদ্ভিদের ফল অথবা বাকল হতে পাওয়া যায়। পাট (Jute) হলো বাস্ট ফাইবারের অন্যতম উদাহরণ। এ ছাড়া লিনেন, শন (Hemp), র্যামিও বাস্ট ফাইবার।
লিফ ফাইবার (Leaf Fibre)
গাছের পাতা মূল বা ডাঁটা হতে যে ফাইবার পাওয়া যায় তা লিফ ফাইবার। উদাহরণ সিসাল, পাইন আপেল ইত্যাদি।
প্রাণিজ ফাইবার (Animal Fibre)
প্রাণী হতে সরাসরি যে ফাইবার পাওয়া যায় তা প্রাণিজ ফাইবার। বিভিন্ন প্রজাতির ভেড়া বা ভেড়া জাতীয় প্রাণীর পশম হতে উল ফাইবার পাওয়া যায়। আবার পলু পোকা নামক এক প্রকার পোকার তৈরি গুটি থেকে ফিলামেন্টের আকারে যে ফাইবার পাওয়া যায় তা রেশম বা সিল্ক ।
খনিজ ফাইবার (Mineral Fibre)
খনি থেকে যে সমস্ত ফাইবারের উৎপত্তি তা খনিজ ফাইবার। উদাহরণস্বরূপ, গ্যাস, অ্যাসবেস্টস, ইত্যাদি। কঠিন শিলা মাটির তলদেশে স্তরে স্তরে জমা হয়ে এক প্রকার আঁশ উৎপন্ন করে। গ্যাস ও সিরামিক ফাইবার, খনিজ ফাইবার— এগুলোকে কৃত্রিমভাবে সংগ্রহ করা হয় বলে এগুলোকে কৃত্রিম ফাইবার হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
প্রাকৃতিক ফাইবারের শ্রেণিবিভাগ:
প্রাকৃতিক ফাইবার প্রধানত তিন প্রকার
১) উদ্ভিজ ফাইবার
ক) বীজ ফাইবার- তুলা, ক্যাপক, নারিকেলের ছোবড়া ইত্যাদি
খ) বাস্ট ফাইবার- জুট, লিনেন, হেম্প, রেমি, কেনাফ ইত্যাদি।
গ) লিফ ফাইবার- অ্যাবাকা, সিসাল মেনিলা হেম্প, পাইন আপেল ইত্যাদি।
২) প্রাণীজ ফাইবার
উল, রেশম, মোহেয়ার, রেবিট হেয়ার, ভিকুনা, আলপাকা ইত্যাদি।
৩) খনিজ ফাইবার
গ্যাস, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি।
প্রাকৃতিক ফাইবারের ব্যবহার
প্রাকৃতিক ফাইবারের ব্যবহার বহুবিধ। যেহেতু প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং আর্দ্রতা ধারণ ক্ষমতা প্রাকৃতিক ফাইবারের অনেক বেশি। কাজেই জনপ্রিয়তাও প্রাকৃতিক ফাইবারের বেশি এবং ব্যবহারের দিক থেকে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত।
* সব ধরনের কাপড় তৈরিতে প্রাকৃতিক ফাইবার ব্যবহৃত হয়।
* পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই গ্রীষ্মকালীন পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* বাড়িতে ফার্নিশিং ক্লথ হিসেবে ব্যবহারের জন্য, যেমন- বিছানার চাদর, টাওয়েল, ছোট গালিচা ও কার্পেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* ব্যাগ, থলে, ম্যাট, কম্বল, দড়ি, সুতলি, কর্ডেজ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* নিটেড অ্যাপারেল, শার্টিং, সুটিং, ওভারকোট, সোয়েটার ইত্যাদি গরম পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।
* চাকচিক্যময় ড্রেস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।
* শাড়ি যেমন- জর্জেট, শিপন ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* খেলাধুলার পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
আরও দেখুন...